এবার অনেকে শুরুতেই বুঝতে পেরেছিলেন, আবার অনেকে আস্থা রেখেছিলেন তামিম ইকবালদের ওপর। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় লাইভে এসে সে রহস্যও উন্মোচন করে দিয়েছেন তামিম, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ। এদিকে মুশফিকের সঙ্গে তামিমের আপাত দ্বন্দ্বের সেই ভাইরাল ফোনালাপ আসলেই একটি মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনেরই অংশ।
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে ব্যবহার করে একটি ষড়যন্ত্রমূলক থিম সৃষ্টি করা হয়েছিল। ভিডিওতে দাবি করা হয়েছিল তামিম ও মিরাজের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে এবং সেটা তারা হাতে পেয়েছে। সে ভিডিওতে আবার সাকিবের সঙ্গে তামিমের দ্বন্দ্বটাও তুলে আনা হয়েছিল। ফোনালাপে তামিমকে ফরচুন বরিশাল-সতীর্থ মিরাজের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
সর্বশেষ বিপিএলে তাঁদের সঙ্গে থাকা মুশফিকের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তামিমকে। ব্যাপারটা বিপিএল সংক্রান্ত এমনটা এক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করতে কথা দিয়েও তাঁদের ছেড়ে নতুন এক দল গড়ছেন কেন মুশফিক, এ নিয়ে হাপিত্যেশ করতে শোনা তামিমকে। এবং জাতীয় দলের বর্তমান ক্রিকেটার মিরাজকে ব্যবহার করে বিতর্কিত কিছু মন্তব্য করেছেন তামিম। এর মধ্যে ‘জাতীয় দলে নেই বলে অন্যদের ভাব বেড়ে গেছে’, ‘অধিনায়ক থাকলে এসব করতে পারতি না’, ‘দেখ আমি কী করি’-র মতো উল্লেখযোগ্য।
এদিকে সারাদিন ধরে চলা আলোচনার পর সন্ধ্যা সাতটায় তামিমরা সবাই লাইভে এসে এ নিয়ে কথা বলেছেন। এমন একটি বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে যে সমর্থকের তোপের মুখে পড়েছেন, তা নিজেই স্বীকার করেছেন তামিম। এদিকে বিজ্ঞাপনের নামে জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের এমন ‘ফোনালাপ’ সম্পর্কে অবগত হয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও।
গতকাল তামিমের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভ শেষ হওয়ার পরই একটি সংবাদমাধ্যম এ ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য জানতে চেয়েছিল। স্পষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, ‘এসব ফাজলামি…আমি কী বলব? ব্যাপারটা দেখছি আমি।’